উখিয়ায় এসএসসিতে ৮০.৬০ শতাংশ, দাখিলে ৬১.৯৮ শতাংশ পাশের হার!

ইমরান আল মাহমুদ:
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি, দাখিল,ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফলে উখিয়ায় এসএসসিতে ৮০দশমিক ৬০ শতাংশ ও দাখিলে ৬১দশমিক ৯৮ শতাংশ পাশের হার। এসএসসি পরীক্ষায় ১৫ টি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২হাজার ৬শ ২৪জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২হাজার ১শ ৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ ৫০জন। দাখিলে ১২টি মাদ্রাসা থেকে ৬শ ৭৫জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩শ ৯৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬জন। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. বদরুল আলম।

সোমবার(২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সারাদেশে একযোগে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ফলাফলে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষ স্থানে রয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার স্বাক্ষরিত ফলাফল তালিকা অনুযায়ী উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১২৫ জন কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪১জন অংশ নিয়ে ২০৬ জন কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪জন। বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯০জন অংশ নিয়ে ৭৩জন পাশ করেছে।জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৭১ জন অংশ নিয়ে ২৩৫জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪জন। ভালুকিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৬৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন। সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪০২জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩২৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮জন। পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফলে অকৃতকার্যের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২২৯ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন। কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২২৩জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২০৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন। জালিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৭ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। রুমখাঁপালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৪ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। আবুল কাশেম-নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭৫ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৫৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন। থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৭জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৮৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন। মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৬ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৯জন। কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২৯জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৮৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০৫ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৫২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন।

অন্যদিকে মাদ্রাসা পর্যায়ে সবচেয়ে ভরাডুবি হয়েছে রাজাপালং এম ইউ ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায়। এ মাদ্রাসা থেকে ৮৫জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৭৪জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৪০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। হামিদিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৭৩ জন অংশ নিয়ে ৪৯জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। ফারিরবিল মিনহাজুল কুরআন আলিম মাদ্রাসা থেকে ১১০ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। রুমখাঁপালং ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ১১৩ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন। রাজাপালং বায়তুশ শরফ আদর্শ শাহ জব্বারিয়া বালিকা মাদ্রাসা থেকে ৪০ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৮ জন। কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪১জন অংশ নিয়ে ২৩ জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। ফাতেমাতুজ জুহরা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪৮ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন। হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা(রাঃ) বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১০জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। পাগলিরবিল দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩১জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৩জন। জিপিএ-৫ নেই। রহমতের বিল দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩৬ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৩জন। জিপিএ-৫ নেই। উম্মে সালমা(রাঃ) বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৪ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৩জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। ভোকেশনালে নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৯ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭৪জন। জিপিএ-৫ নেই। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪১জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন। আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬৭জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন।